মাসুম বিল্লাহ: আড়াইহাজার উপজেলায় কোভিড ১৯ করোনাভাইরাসকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকায় হাট-বাজার, বিপণী বিতান ও শপিংমলগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। বিশেষ করে নারী ক্রেতাগণ বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। এই অভিযোগে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আড়াইহাজার, গোপালদীসহ বিভিন্ন মার্কেট গুলো।
জানা গেছে, উপজেলার সব গুলো মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। কিছু কিছু শপিংমলগুলোর প্রবেশ দ্বারে হাত ধোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আবার অনেক মার্কেটে হাত ধোয়ার বিষয়টি মানা হচ্ছে না। তাছাড়া ও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
মার্কেটগুলোর ভিতরে জীবাণু নাশক ম্প্রে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ক্রেতারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার না করে অবাধে চলাচল করছেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা পাইকারী মাল কিনতে ঢাকা ও করোনা স্পটস্ট নারায়ণগঞ্জ শহরে যাতায়ত করছেন। এতে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সকাল ১১টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, থানার প্রধান ফটক থেকে শুরু করে পূবালী ব্যাংক পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট লেগে আছে। গাড়ি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
এসময় দেখা গেছে, কয়েক শত রিকশা বাজার জুড়ে অস্থান করেছে। অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যাত্রী ও চালকরা চলাচল করছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সোহাগ হোসেন জানান, সরকার যেই নিয়মে দোকান পাট চালুর অনুমতি দিয়েছেন সেই নিয়ম কেউ মানছেন না। তাই আমরা বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছি। তারা শনি ও রোববার দুই দিন সময় নিয়েছেন। যদি তারা নিয়ম মানতে ব্যার্থ হয়। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান ছাড়া বাকী সব মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।