মুফতি রশিদ আহমেদ শাজলী : হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন: চার শ্রেনীর লোক সকাল সন্ধা আল্লাহর ক্রোধের মধ্যে অতিবাহিত করে। আরজ করা হলো, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরা কারা? তিনি বললেন : “এরা হলো মহিলা বেশধারী পুরুষ, পুরুষ বেশধারী মহিলা ,পশু মৈথনকারী ও পুং মৈথনকারী ”। অন্য বর্ননায় আসছে, “যখন কোন পুরুষ অন্য কোন পুরুষের উপর উপগত হয় তখন আল্লাহর গজবের ভয়ে আরশ কাঁপতে থাকে এবং আকাশ ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তখন ফেরেশতাগন আকাশ ধরে রাখেন আল্লাহর ক্রোধ পশমিত না হওয়া পর্যন্ত তারা সুরা ইখলাখ তেলাওয়াত করতে থাকেন ।” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে আরো বর্নিত আছে যে, সাত শ্রেনীর লোকের প্রতি আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ প্রদান করেন এবং কিয়ামতের দিন তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না। তিনি তাদের বলবেন, তোমরা অন্যান্য জাহান্নামীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করো। তারা হলো – সমমৈথুনকারী (কর্তা ও যার সাথে করে উভয়),পশুমৈথুনকরী, মা ও কন্যার সাথে যারা ব্যভিচার করে এবং হস্তমৈথুনকারী, তবে এরা তাওবা করলে ক্ষমা পেতে পারে।
চোখের দৃষ্টির অনিষ্ঠতা : হাদিসে বর্নিত আছে যে , আব্দুল কায়েম এর প্রতিনিধি দল যখন নবী করীম (সাঃ) এর খিদমতে এসেছিল তখন তাদের সাথে এক সুর্দশন যুবক ছিল । নবী করীম (সাঃ) তাকে তাঁর পেছনে বসতে দেন এবং বলেন : হজরত দাউদ(আঃ) এর সময়ে প্রধান সমস্যা ছিল দৃষ্টিপাত। তারা নি¤েœর চরন গুলো আবৃত্তি করলেন । প্রত্যেক অপকর্মের সূচনা হয় দৃষ্টিপাত থেকে। ছোট ছোট অপরাধ ও পাপাচার জাহান্নামের বড় শাস্তির দিকে ধাবিত করে । মানুষ যতদিন দৃষ্টি শক্তি সম্পন্ন থাকে ততদিনই সে অপরের দৃষ্টিতে সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় । কত দৃষ্টিপাত দৃষ্টি নিক্ষেপ কারীর হৃদয়কে ধনুক ও কামানবিহীন তীরে আহত করে তার ইয়েত্তা নেই। দৃষ্টি যে অনিষ্ট সাধন করে তাতে দৃষ্টিপাত কারী সন্তুষ্ট হয় বটে কিন্তু এরুপ অনিষ্টের আগমন অভিবাদন লাভের যোগ্য নয় । কথায় বলে দৃষ্টিপাত হলো ব্যাভিচারের ডাক বাক্স । আরেক হাদিস শরীফে আছে , “দৃষ্টিপাত হলো শয়তানের তীর সমূহের মধ্যে বিষাক্ত তীর”